কলিং বেল সার্কিট কানেকশন | Calling bell wiring diagram
কলিং বেল সার্কিট বর্তমানে বসাবাড়িতে, অফিস আদালত, হোটেল রেস্তরা সবখানেই দেখতে পাওয়া যায়। এই পোস্টে কলিং বেল সার্কিট কানেকশন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো, যা আপনাদের কাজের ক্ষেত্রে অনেক কাজে দিবে। তাই পুরো পোস্টটি ভালো করে পড়ুন।
আজকের পোস্ট পড়লে কলিং বেল লাগানোর নিয়ম, কলিংবেল সেটিং, কোথায় কলিং বেল সার্কিট ব্যবহার করা হয়, কলিং বেল সার্কিট ডায়াগ্রাম (Calling bell wiring diagram) ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। চিত্রের সাহায্যে খুব ভালো ভাবে কলিংবেল সার্কিট কানেকশন তুলে ধরা হলো এই পোস্টে।
কলিং বেল সার্কিট কানেকশন
বাজারে বিভিন্ন ধরনের কলিং বেল পাওয়া যায় যেগুলোর সাউন্ড বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী সাউন্ড দেখে কলিং বেল কিনলেই হবে। তবে একটু মিষ্টি সাউন্ড যুক্ত কলিংবেল নির্ধারন করাই উত্তম। তা না হলে একই সাউন্ড পরবর্তীতে শুনতে শুনতে খুবই বাজে মনে হতে পারে।
কলিং বেল সার্কিটে কাজ করার জন্য যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ন তা হলো কত স্থান থেকে কলিং বেল নিয়ন্ত্রন করা হবে প্রথমে সেটা নির্ধারন করা। আজকের আমরা দুটি কলিং বেল সার্কিট নিয়ে আলোচনা করবো এই পোস্টে। প্রথমে আলোচনা করবো একটি স্থান থেকে একটি কলিংবেল কিভাবে বাজাতে হয় তার নিয়ম সম্পর্কে। চিত্রে সুন্দর করে কিভাবে কলিংবেল সার্কিট কানেকশন করতে হয় তা তুলে ধরা হয়েছে।
কলিং বেল সার্কিটের প্রয়োজনীয় মালামাল এর তালিকা
- পুশ সুইচ -১ টি
- চ্যানেল ১৯ মি.মি
- সিঙ্গেল কোর পিভিসি তার ( লাল ও কালো)
- সুইচ বোর্ড -১ টি
- ইনসুলেটিং টেপ
- একটি কলিং বেল
- ব্যাটেন হোল্ডার- ১টি
- ১০০ ওয়াট ইনক্যান্ডিসেন্ট ল্যাম্প - ১টি
- তারকাটা/স্ক্রু ( প্রয়োজন মত)
কলিং বেল সার্কিটের কানেকশন পদ্ধতি
যারা কলিং বেল লাগানোর নিয়ম হলো প্রথমে টু-পিন প্লাগ এর দুই প্রান্তে লাল ও কালো দুটি তার লাগিয়ে নিতে হবে। লাল তারটিকে কলিং বেল সুইচ / পুশ সুইচের নিচের পয়েন্টে লাগিয়ে দিতে হবে। সুইচের উপরের প্রান্ত থেকে আরেকটি লাল তার সংযুক্ত করে সেই লাল তারটি ব্যাটেন হোল্ডারের একটি প্রান্তে লাগাতে হবে।
হোল্ডারের অপর প্রান্তে আরেকটি লাল তার সংযুক্ত করে তারটি কলিংবেলের একটি প্রান্তে লাগাতে হবে। কলিং বেলের অপর প্রান্তটিকে টু-পিন প্লাগের নিউট্রাল তার/ Negative তারের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। অর্থাৎ যে কালো তারটি টু পিন প্লাগের অবশিষ্ট ছিল তার সাথে সংযোগ করতে হবে। টু-পিন প্লাগটি এখন পাওয়ার সাপ্লাইয়ের সাথে সংযুক্ত করে সুইচ অন করলে কলিং বেলটি বেজে উঠবে।
তবে এখানে উল্লেখ্য যে, কলিং বেল সার্কিটে একটি হোল্ডার কলিং বেলের সাথে সিরিজে সংযোগ করা হয়েছে। আমরা জানি সিরিজ সংযোগে ভোল্টেজ ভাগ হয়ে যায়। আমরা যখন কলিং বেল সুইচ অন করি তখন যেন অতিরিক্ত ভোল্টেজের কারনে কলিং বেলটি নষ্ট হয়ে না যায় তাই কলিং বেলের সাথে একটি বাতিকে সিরিজে সংযুক্ত করা হয়েছে।
মূলত কলিং বেলের আয়ুষ্কাল বাড়াতে বাল্বটিকে সিরিজে সংযোগ করা হয়ে থাকে। কলিং বেল কিভাবে কাজ করে আশা করি বুঝতে পেরেছেন। নিচের চিত্রে তিনটি ইন্ডিকেটর বাতিসহ তিন জায়গা থেকে ১টি কলিং বেল নিয়ন্ত্রনের সার্কিট তুলে ধরা হয়েছে। কেউ যদি কলিং বেলের প্রথম সার্কিট বুঝে থাকেন তাহলে নিচের চিত্রটিও বুঝতে পারবেন আশা করছি।
কলিং বেল সার্কিট কিভাবে কাজ করে উপরের আলোচনা থেকে আশা করি সকলে বুঝতে পেরেছি। এখন থেকে সকলেই কলিং বেল সেটিং করে ফেলতে পারবো।
তবে কিছু কিছু কলিং বেলে স্টেপ ডাউন ট্রান্সফরমার ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যেখানে ইনপুট ভোল্ট হিসাবে ২২০ ভোল্ট ব্যবহার করা হয় এবং ট্রান্সফরমারের আউটপুটে ১২ ভোল্ট অথবা ২৪ ভোল্ট পাওয়া যায়। উক্ত আউটপুটকে আমরা কলিংবেলের ইনপুটে দিয়ে কলিং বেলটিকে বাজাতে পারি।
কলিং বেল এর দাম
যারা কলিং বেল কিনতে চাচ্ছি, বাজারে বিভিন্ন কোম্পানির কলিং বেল পাওয়া যায় যেগুলো গুনগত মানের কম বেশির জন্য দামের কমবেশি হয়ে থাকে। যার প্রতিটি কলিং বেল রিংটোন আলাদা আলাদ। ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০০ টাকার ভিতরে অনেক গুলো কলিং বেল বাজারে খুজলে আপনারা পেয়ে যাবেন। আর যদি অনলাইনে কিনতে চান তাহলে লিংকে গিয়েও আপনার পছন্দের কলিং বেলটি কিনে নিতে পারবেন।
শেষকথা
আজকের আলোচনায় আমরা কলিং বেল সার্কিট কানেকশন সম্পর্কে ভালো একটি ধারনা পেলাম। আপনাদের যদি কলিং বেল সংযোগ নিয়ে কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানিয়ে দিতে পারেন, আমরা আপনাকে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবো।
এমন নিত্যনতুন পোস্ট পেতে প্রতিনিয়ত আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। সময় দিয়ে পুরো পোস্টটি পড়ার জন্য সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ।
আরো পড়ুনঃ
উপায় কী এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url