আর্থিং করার পদ্ধতি | আর্থিং কেন ব্যবহার করা হয়
আর্থিং করার পদ্ধতি সম্পর্কে আমাদের ধারনা অনেকের নাই বললেই চলে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিপদমুক্ত করতে আর্থিং খুবই গুরুত্বপূর্ন। যদি বাসাবাড়িতে আর্থিং করা না থাকে তাহলে আর্থিং করার পদ্ধতি কেমন তা জানতে আজকের পোস্টটি পড়তে পারেন। কারন আজকে আর্থিং কেন ব্যবহার করা হয় এবং আর্থিং করার পদ্ধতি কি তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
আর্থিং হলো নগন্য রেজিস্ট্যান্সের তার দিয়ে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ধাতব বডির সাথে সংযোগ করার ব্যবস্থা যাতে ব্যবহারকারী নিরাপদে যন্ত্রপাতিগুলো ব্যবহার করতে পারে। আর্থিং ব্যবহার করলে যন্ত্রপাতির বডিতে সংযুক্ত ভোল্টেজ শূন্য থাকবে যাতে করে ব্যবহারকারী যারা আছে সকলে বৈদ্যুতিক শক থেকে নিরাপদ থাকবে।
আরো পড়ুনঃ
আর্থিং কি | আর্থিং কাকে বলে
আর্থিং হলো এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে অনাকাঙ্ক্ষিত, অবাঞ্চিত বিদ্যুতের হাত থেকে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি এবং মানুষকে বৈদ্যুতিক শক থেকে রক্ষা করে যন্ত্রপাতির ধাতব বহিরাবরণ থেকে অতিরিক্ত কারেন্টকে তারের সাহায্যে নিরাপদে মাটিতে প্রেরন করা হয়ে থাকে।
আর্থিং কত প্রকার ও কি কি
আর্থিং কত প্রকার তা নির্ভর করে আমরা কি ধরনের ইলেকট্রোড ব্যবহার করবো তার উপর। আর্থিং করার সময় মাটির নিচে যে ধতব পদার্থ প্রবেশ করানো হয় আর্থ তারের শেষে তাকেই মূলত আর্থ প্লেট বা আর্থ ইলেকট্রোড বলা হয়ে থাকে। বর্তমানে পাঁচ প্রকারের আর্থিং করতে দেখা যায়-
- পাইপ আর্থিং বা পাইপ ইলেকট্রোড
- প্লেট আর্থিং বা প্লেট ইলেকট্রোড
- রড আর্থিং বা রড ইলেকট্রোড
- স্ট্রিপ আর্থিং বা স্ট্রিপ ইলেকট্রোড
- শিট আর্থিং বা শিট ইলেকট্রোড
আর্থিং এর উপাদান কয়টি
আর্থিং যে সকল জিনিস দ্বারা তৈরি করা হয়ে থাকে তাকে আর্থের উপাদান বলা হয়ে থাকে। আর্থিং এর উপাদান তিনটি।
- আর্থ ইলেকট্রোড
- আর্থিং লিড অথবা অর্থের তার
- আর্থের নিরবিচ্ছিন বা অবিচ্ছেদ্য তার ( সবুজ রং)
আর্থ ইলেকট্রোড হলো মাটির নিচের ধাতব দন্ড যার পুরোটা মাটির নিচেই থাকে। আর্থিং লিড হলো জিআই তার আর্থিং লিড হিসেবে ২,৪,৬,৮,১০,১২,১৪ গেজ ব্যবহার করা হয়। আর আর্থের কন্টিনিউটির তার হিসাবে সচরাচর সবুজ তার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আর্থিং কেন ব্যবহার করা হয়
আমরা উপরে আর্থিং এর সজ্ঞা থেকে জানতে পারলাম আর্থিং হলো বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ধাতব বডিতে থাকা অবাঞ্চিত কারেন্ট মাটিতে প্রেরনের একটি ব্যবস্থা। সকলের বাসায় আর্থিং এর ব্যবস্থা থাকা খুবই জরুরি। আর্থিং কেন ব্যবহার করা হয় তা নিয়ে আমরা বিস্তারিত জানব তাহলে বুঝতে পারব আর্থিং এর প্রয়োজনীয়তা কি সকলের বাসাবাড়িতে।
- আর্থিং প্রথমত বৈদ্যুতিক শক থেকে নিজে বাঁচানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- বজ্রপাত, তারের ইনসুলেশন নষ্ট হয়ে যাওয়া এবং শর্ট সার্কিট এর কারনে অথবা যে কোন ইলেকট্রিক্যাল সিস্টেমের ভোল্টেজ বেড়ে গেলে মাটিতে প্রেরন করার জন্য আর্থিং ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- কোন কারনে ট্রান্সফরমারের একটি লাইন যদি ত্রুটিযুক্ত হয়ে থাকে তাহলে হাই ভোল্টেজ তৈরি হয়। ট্রান্সফরমারের হাই ভোল্টেজ কে মাটিতে প্রেরনের জন্য আর্থিং ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- বেশি মাত্রার লিকেজ কারেন্ট আর্থিং তারের মাধ্যমে ট্রান্সফরমার ও বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিকে ক্ষতির সম্মুখিন করে দিতে পারে। এ ক্ষতির হাত হতে বাঁচার জন্য আর্থিং ব্যবহার করা হয়।
- বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির ( যেমন- ফ্রীজ, রাইস কুকার, ওভেন ইত্যাদি) ধাতব বডিতে যদি অতিরিক্ত কারেন্ট জমা হয়ে থাকে তখন কেউ সে যন্ত্রপাতিগুলো ধরলে শক করবে, এই শকের হাত হতে রক্ষা করার জন্য আর্থিং ব্যবহার করা হয়।
- কোন যন্ত্রপাতিতে ত্রুটিকালীন অবস্থায় যাতে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতিতে ত্রুটিযুক্ত কোন ভোল্টেজ না থাকে তা নিশ্চিত করতে আর্থিং ব্যবহার করা হয়।
- বর্তমানে বেশিরভাগ স্থানে বড় বড় ভবনগুলোতে বজ্রপাত হতে রক্ষাা করার জন্য আর্থিং ব্যবহার করা হয়।
আর্থিং কেন ব্যবহার করা হয় আমরা তাহলে পরিষ্কার ভাবে জানতে পারলাম, উপরক্ত কারনে আমাদের সকলের বাসায় আথিং এর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
আর্থিং এর প্রয়োজনীয়তা কি
বর্তমানে সকলের বাসাবাড়িতে অনেক দামিদামি বৈদ্যুতিক অ্যাপ্লায়েন্স ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যেগুলোতে যে কোন ত্রুটিপূর্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থার কারনে সে সকল বৈদ্যুতিক ডিভাইস নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাছাড়াও বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের ধাতব বডিতে হাত দেওয়ার ফলে শক খাওয়ার সম্ভবনা থাকে। তাই বাসাবাড়ির দামি বৈদ্যুতিক ডিভাইস সমূহকে সুরক্ষিত করার জন্য আর্থিং করা একান্ত প্রয়োজন।
আর্থিং তারের রং কি
আর্থিং তারের রং সচরাচর সবুজ কালারের হয়ে থাকে। আর্থিং এর জন্য যে তার ব্যবহার করা হয় তাকে আর ই ( RE ) দ্বারা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। RE এর পূর্ণরুপ হলো Round of Each Conductor. যার মানে হলো গোলাকার পাশকাটের ভিতরে একক সলিড তার। সাধারনত বাসাবাড়িতে সবুুজ রং এর তারকে আর্থিং তার হিসাবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
আর আর্থিং তারের সাইজ কত হবে তা নির্ভর করবে আপনি কোথায় আর্থিং করবেন তার উপর। বাসাবাড়িতে আর্থিং করার জন্য ১.০ RE অথবা ১.৫ RE এর তার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু আর্থিং তারের সাইজ কত হবে বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড যে নির্দেশনা দিয়ে রেখেছে সেটা ফলো করতে হবে।
নিচে একটি চিত্র দেওয়া হলো যেখানে বলা হয়েছে আমরা যে পরিমানের ফেজ তার ব্যবহার করবো তার সমমানের সাইজের আর্থিং তার নির্ধারন করতে হবে।
আর্থিং রডের দাম কত
আমরা আর্থিং করার জন্য যে ইলেকট্রোড ব্যবহার করবো সেটাকে আর্থিং রড বলে তবে তা রড আর্থিং এর ক্ষেত্রে। আর্থিং রডের দাম কত তা নির্ভর করে রডের গুনগত মানের উপর। আর্থিং রডের দাম ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকার ভিতরে যাবেন। তবে কয়েক দোকান দেখে কিনলে আরো কম দামে আর্থিং রড পেতে পারেন।
আর্থিং করার পদ্ধতি
আমরা আর্থিং এর শ্রেণীবিভাগে পাঁচ রকমের আর্থিং আছে এটা জানতে পেরেছি। প্রত্যেক প্রকার আর্থিং করার আলাদা পদ্ধতি আছে। আজকে আপনাদের পাইপ আর্থিং ও রড আর্থিং কোন পদ্ধতিতে করতে হয় তার বিস্তারিত আলোচনা করবো। প্রত্যেক আর্থিং করার জন্য অবশ্যই আর্থিং এর তিনটি উপাদান আপনার কাছে থাকতে হবে।
রড আর্থিং করার পদ্ধতি
রড আর্থিং করার পদ্ধতিতে ইলেকট্রোড বা প্লেট হিসাবে রড ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তার সাথে আর্থিং লিড ও আর্থ কন্টিনিউটি তার রাখতে হবে। বর্তমানে রড আর্থিং সিস্টেমটি পল্লী বিদ্যুৎ সিস্টেমে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। রড আর্থিং এ রডের সাইজ ২.৫মিটার লম্বা এবং ১৬ মি.মি ব্যাসের লোহার বা জি আই পাইপকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
যদি রড ভালোভাবে স্থাপন করার পরে আর্থ রেজিস্ট্যান্স ভালো না হয় তাহলে রড বাড়ানো যেতে পারে। রড আর্থিং এমন স্থানে করা উচিত যেখানে ছাঁয়া বা হালকা ভেজা থাকে তাহলে খুব কম রেজিস্ট্যান্স পাওয়া যায়। রড আর্থিং করতে যে সকল পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত-
- প্রথমে আর্থিং করার যাবতীয় উপকরন সংগ্রহ করা।
- মিটারের কাছাকাছি কোন ছাঁয়াময় স্থানে ইলেকট্রোডটি অল্প গর্ত করে পানি দিয়ে আস্তে আস্তে মাটিতে পুতে দেওয়া।
- আর্থিং লিডের সাথে আর্থ ইলেকট্রোড সংযুক্ত করা।
- আর্থিং লিডের সাথে আর্থের কন্টিনিউটি তার যুক্ত করে গ্রহকের যে সকল স্থানে আর্থিং করা দরকার সেখানে সংযুক্ত করা।
- আর্থিং করা শেষ হয়ে গেলে আর্থ রেজিস্ট্যান্স পরিমাপ করা।
- প্রতি বছর অন্তত একবার আর্থ রেজিস্ট্যান্স চেক করা।
রড আর্থিং করার পদ্ধতি অন্য আর্থিং থেকে অনেক সহজ তাই রড আর্থিং বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
পাইপ আর্থিং করার পদ্ধতি
উপরে পাইপ আর্থিং এর চিত্র দেওয়া হয়েছে, যেখানে পাইপ আর্থিং করতে আপনাকে লোহার অথবা ইস্পাতের তৈরি ইলেকট্রোড সংগ্রহ করতে হবে। যেখানে পাইপের দৈঘ্য কমকরে ২ মিটার আর পাইপের ভিতরের ব্যাস ৩৮ মিমি হতে হবে। তবে যেখানে পাইপ আর্থিং করবেন সেই যায়গা যদি শুকনা ও বেশি শক্ত হয় তাহলে পাইপের দৈর্ঘ ২.৭৫ মিটার নিতে হবে।
পাইপটিকে লম্বালম্বি করে ৭.৫ সে.মি পরপর ১২ মিমি ব্যাসের ছোট ছোট ছিদ্র করতে হবে। যাতে করে পানি বের হতে পারে পাইপের ভিতর থেকে বাহিরে। ছিদ্র এমন ভাবে করতে হবে যেন প্রথম ছিদ্র থেকে পরের ছিদ্রটি আড়াআড়ি থাকে এর ফলে পানি ঢাললে পুরো পাইপের চারপাশ ভিজা থাকবে। পাইপ আর্থিং করতে আরো যে সকল পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে-
- বিল্ডিং বা বাসার দেওয়াল থেকে ১.৫ মিটার দূরে ৪.৭৫ মিটারের গভীর একটি গর্ত তৈরি করতে হবে। তবে গর্ত করতে গিয়ে যদি মাটি ভেজা পাওয়া না যায় তাহলে আরো বেশি পরিমানে গর্ত করতে হবে।
- গর্ত করা শেষ হলে পাইপের নিচের চারপাশে ১৫ সে.মি জায়গায় কাঠ কয়লা এবং লবন দিয়ে ঘিরে দিতে হবে। এভাবে গর্তের প্রথম ভাগ লবন আর দ্বিতীয় স্তরে কাঠ কয়লা আবার তৃতীয় স্তরে লবন আবার চতুর্থ স্তরে কাঠকয়লা প্রদান করতে হবে।
- পাইপের মাথায় একটি ফানেলের আকৃতি তৈরি করে বসিয়ে দিতে হবে যাতে গরমের সময় পানি ঢেলে দেওয়া যায়। আর পাইপের চারপাশ ভিজা থাকে এতে করে আর্থিং রেজিস্ট্যান্স আরো ভালো থাকবে।
- ফানেলের মুখে যেন কেউ কিছু ফেলতে না পারে তাই একটি চেম্বার বানানো যেতে পারে ইট দিয়ে। উপরে ঢাকনা তুলে যেন ভিতরে পানি দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
- পাইপ আর্থিং এর জন্য আর্থিং তার বা লিড এর সাইজ হবে ৮ নং অথবা ৪ নং SWG এর গ্যালভানাইজ করা লোহার তার সচরাচর ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
- আর্থ তারের এক প্রান্ত আর্থিং ইলেকট্রোডের সাথে সংযুক্ত করতে হবে এবং আর্থ তারের অন্য প্রান্ত মেইন সুইচ বা আর্থিং বাসবার পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে।
- এরপর এখান থেকে আর্থ কন্টিনিউটি তারের মাধ্যমে যে সকল যন্ত্রপাতিতে সংযোগ দিতে হবে সেখানে সংযোগ করে দিতে হবে।
- আর্থ টেস্টারের সাহায্যে আপনার আর্থিং রেজিস্ট্যান্স কত তা পরিমাপ করে দেখতে হবে।
আর্থিং কিভাবে করা হয় আর্থিং করার যে পদ্ধতি দেওয়া হয়েছে তা অনুসরন করে আপনিও পাইপ আর্থিং করে নিতে পারেন আপনার বাসাবড়িতে।
পাইপ আর্থিং করতে কি কি মেটেরিয়াল দরকার হবে
নিচে পাইপ আর্থিং এর মালামালের তালিকা দেওয়া হলো-
- ২ মিটার লম্বা ৩৮ মিমি প্রস্থ বিশিষ্ট্য জি আই পাইপ- ১ টি
- আর্থিং লিড হিসাবে ৪ থেকে ৮ নং জি আই তার - প্রয়োজন মত
- স্টান্ডার্ড সাইজের জি আই নাট এবং বোল্ট ওয়াসার সহ - ১ পিস
- চারকল - ১০ থেকে ১৫ কেজি।
- লবন - ১০ থেকে ১৫ কেজি।
- বালি ও সিমেন্ট প্রয়োজন মত।
আর্থিং নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ন প্রশ্ন ও উত্তর
১। আর্থ রেজিস্ট্যান্স কাকে বলে?
উত্তরঃ আর্থ ইলেকট্রোড ও আর্থ লিড এর মিলিত রেজিস্ট্যান্সকে আর্থ রেজিস্ট্যান্স বলে।
২। বাসাবাড়ির আর্থ রেজিস্ট্যান্স সর্বনিম্ন কত?
উত্তরঃ বাসাবাড়ির আর্থ রেজিস্ট্যান্স সর্বনিম্ন ১ ওহম।
৩। বাসাবাড়ির আর্থ রেজিস্ট্যান্স সর্বোচ্চ কত?
উত্তরঃ বাসাবাড়ির আর্থ রেজিস্ট্যান্স সর্বনিম্ন ৫ ওহম।
৪। পাহাড়ি এলাকায় আর্থ রেজিস্ট্যান্স কত হওয়া উচিত?
উত্তরঃ পাহাড়ি এলাকায় আর্থ রেজিস্ট্যান্স ৮ ওহম পর্যন্ত গ্রহনযোগ্য।
শেষকথাঃ
আমরা এতক্ষন ধরে আর্থিং করার পদ্ধতি ও আর্থিং কেন করা হয় এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করলাম আশাকরি পুরো পোস্ট পড়ে আপনারা অনেক উপকৃত হয়েছেন। আপনাদের যদি আর্থিং করার পদ্ধতি নিয়ে কোন প্রকার প্রশ্ন থাকে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন।
আপনাদের যদি আজকের পোস্টটি ভালো লাগে তাহলে অন্যদের জানাতে পারেন। আর নিত্যনতুন পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করার অনুরোধ করছি। - ধন্যবাদ।
আরো পড়ুনঃ
উপায় কী এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url