মূলত অন পেজ এসইও কি? এটা নিয়ে আমরা অনেক গবেষনা করি। বিশেষ করে আমরা যারা ব্লগিং করে থাকি তারা On Page SEO নিয়ে বেশি চিন্তা করি। বর্তমানে ব্লগিং-এ এত পরিমান প্রতিযোগীতা বেড়ে গেছে কার আগে কে গিয়ে প্রথম যায়গা দখল করতে পারবে এটার বিভিন্ন কলাকৌশল অবলম্বন করে প্রতিটা ব্লগার। আজকের অন পেজ এসইও আলোচনায় আপনিও কিভাবে সকলের সাথে দৌড়ে সামিল হতে পারবেন তা নিয়ে আলোচনা করবো। যারা On Page SEO নিয়ে কিছুই জানে না আজকের পোস্টটি মূলত তাদের জন্য।
এসইও (SEO) কি? - SEO গাইডলাইন বাংলা
SEO এর পূর্নরুপ হলো সার্স ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ( Search Engine Optimization)। এসইও হলো এমন একটি পক্রিয়া, যা ব্লগে অথবা ওয়েবসাইটে কিছু স্পেশাল টেকনিক ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি গুগল বা অন্য যেকোন স্থান থেকে আপনার ওয়েবসাইটে আসা ভিজিটরদের পরিমান বাড়িয়ে নিতে পারেন।
আপনারা যদি আরো সহজ করে ভাবেন তাহলে SEO হলো এমন একটি পক্রিয়া যেখানে গুগলে বা অন্যসার্চ ইঞ্জিনে আসা ভিজিটরগুলো যে বিষয়ে সার্চ করে সার্চ ইঞ্জিন সে ধরনের ফলাফল আপনার সামনে উপস্থাপন করে। যেমন- আপনি সার্চ করলেন গুগলে এসে সার্চ করলেন অন পেজ এসইও নিয়ে, গুগল কিন্তু আপনার সামনে অনেকগুলো ওয়েবসাইটকে হাজির করবে যাদের কনটেন্টগুলো এসইও নিয়ে লেখা। গুগল তো আপনাকে অন্য কোন তথ্য এ তথ্যের মাঝে এড করে দেয় নি। তারমানে আপনাকে বুঝতে হবে, যারা যার তাদের ওয়েবসাইটে এসইও নিয়ে আর্টিকেল লিখছে শুধু তাদেরকে দেখাবে। তারপর আবার এটা চিন্তা করুন সবার কনটেন্টগুলোকে তো একই সিরিয়াল করে দেয়নি। কারোটা প্রথম পেজে কারো আর্টিকেল দশম পেজে এর নিশ্চই কোন না কোন কারন আছে। আর এ সকল কারন গবেষনা করে যারা সামনে আসতে পারে তাদের কনটেন্টগুলো গুগল প্রথমে দেখায়। এই যে টেকনিক দিয়ে সামনে আসার যে কৌশল সেটাই মূলত এসইও।
এসইও কত প্রকার ও কি কি? - SEO এর প্রকারভেদ
আমরা যারা অনলাইনে কাজ করি তারা বিভিন্ন কাজের যাথে যুক্ত থাকার কারনে SEO এর নাম অবশ্যই শুনেছি। আসলে এসইও - এর প্রকারভেদ কতটি এটানিয়ে অনেকের অনেকধরনের ধারনা আছে, নিচে এসইও এর শ্রেনীবিন্যাস করা হলো-
- অন পেজ এসইও ( On Page SEO)
- অফ পেজ এসইও ( Off Page SEO)
- টেকনিক্যাল এসইও ( Technical SEO)
- লোকাল এসইও ( Local SEO)
- মোবাইল এসইও ( Mobile SEO)
- ই-কমার্স এসইও ( E-Commerce SEO) ইত্যাদি
উপরের সবগুলো এসইও- এর আলাদা আলাদা বিশেষত্ব রয়েছে। আমরা যেহেতু আর্টিকেল নিয়ে লেখালেখি করি আমাদের শুধুমাত্র অন পেজ এসইও ( On Page SEO) এবং অফ পেজ এসইও ( Off Page SEO) নিয়ে জানা থাকলেই হবে। আজকে আমি আপনাদের অন পেজ এসইও ( On Page SEO) নিয়ে আলোচান করবো। কারন আমাদের সর্বপ্রথম এ বিষয়ে ধারনা ক্লিয়ার করতে হবে, পরবর্তীতে অফ পেজ এসইও নিয়ে আলোচনা করা হবে।
অন পেজ এসইও কি?- On Page SEO গাইডলাইন
বর্তমানে গুগলে প্রচুর ওয়েবসাইটের সংখ্যা বেড়ে গেছে, যার কারনে বর্তমানে আপনার মার্কেট ধরে রাখাটা খুবই চ্যালেঞ্জের। আমরা আমাদের কনটেন্ট লেখার সময় কিছু টেকনিক অবলম্বন করব যাতে করে এ কঠিন অবস্থায়ও ভিজিটর আমাদের পোস্টগুলো সহজে খুজে পায়। অন পেজ এসইও বলতে মূলত আমরা বুঝি নিজের ওয়েবসাইটের কনটেন্টগুলোকে সার্স ইঞ্জিনের সাথে অপটিমাইজ করা। যাতে করে কেউ যখন উক্ত বিষয় লিখে সার্চ করবে আমাদের ওয়েবসাইটে লেখা তথ্য যেন তার কাছে সবার আগে পৌছে যায়।
সহজ করে যদি On Page SEO নিয়ে আরো বলি তাহলে এমনভাবে বলতে হয়, আমাদের লেখা পোস্টগুলোর ভিতর এমন কিছু টেকনিক অবলম্বন করা যাতে করে সার্চ ইঞ্জিনর বটকে আমাদের লেখনি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারনা দেয়া যায়। সার্চ ইঞ্জিনের বট যখন বুঝতে পারবে যে আমার লেখাটা অন্য সকলের চেয়ে সম্পূর্ন আলাদা এবং পুরো কন্টেন্টে প্রচুর তথ্য আছে তখন আমাদের আর্টিকেলকে সবার আগে নিয়ে আসতে সহায়তা করবে। অর্থাৎ অন পেজ এসইও মূলত আমাদের পেজের মাধ্যমে লেখনির সময় করা হয়ে থাকে।
ব্লগে অন পেজ এসইও করার প্রয়োজনিয়তা - On Page SEO
আমরা কিন্তু যে কেউ একটা ওয়েবসাইট খুলতে পারি, সেখানে অনেক বিষয় নিয়ে লেখালেখিও করতে পারি। কিন্তু যখন ওয়েবাসইটে একটা পোস্ট করি সে পোস্টটি গুগলে সার্চ করে খুজে পাই না। আবার খুজে পেলেও অনেক সময় ৫/৬ পেজের পর আমাদের পোস্টটি দেখায়। আমাদের সকলের আশা থাকে আমাদের পোস্টটি সবার সামনে দেখাবে, কিন্তু সার্চ করে যখন ফলাফল ভিন্ন দেখি তখন কিন্তু আমরা হতাশ হয়ে যাই। আর আমাদের পোস্টটি এত পিছনে থাকার কারনে আমরা পর্যাপ্ত ভিজিটর পাই না। আমাদের ওয়েবসাইট র্যাংকে আনতে পারি না।
একটি উদাহান দিলে ভালো করে বুঝা যাবে, যেমন আপনি একটি পোস্ট লিখলেন মোবাইল ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধা নিয়ে। আপনার কি মনেহয় আপনি একাই এ বিষয়টি নিয়ে লেখালেখি করছেন? অবশ্যই না। সার্চ করে দেখবেন আপনার পোস্টটি সবার পেছনে। আর যারা সামনে আছে তাদের পোস্টের সাথে আপনার পোস্ট মিলাবেন দেখবেন কেন তারা সামনে আসতে পারলো। এ সকল বিষয়ে জানতে হলে আমাদের অবশ্যই অন পেজ এসইও জানতে হবে।
আপনি কিভাবে ব্লগে অন পেজ এসইও করবেন?
আপনারা এতক্ষন ধরে আমার বকবক শুনতে শুনতে বোরিং ফিল করছেন অনেকে? আর যারা মন দিয়ে কনটেন্টটি পড়লেন তারা নিশ্চই জানতে আগ্রহী যে এসইও যেহেতু এতটাই গুরুরত্বপূর্ন তাহলে আমরা কিভাবে SEO করবো। আমাদের On Page SEO এর মূল কথা হলো আমাদের ওয়েবসাইটের কনটেন্টগুলোকে অপটিমাইজেশন করতে হবে। আমাদের ওয়েবসাইটের মূল বিষয় হলো কনটেন্ট। কনটেন্টকে ওয়েবসাইটের প্রান বলা হয়ে থাকে। অনেকে বলতে শুনবেন "Content is King" । আমরা যদি আমাদের লেখা পোস্টগুলোর ধারাবাহিকতা না বুঝে শুধু লেখি আর পোস্ট করি এ জীবনে কখনো আমাকে সামনের পেজে আসতে হবে না। আর সামনের পেজে না আসতে পারলে গুগলের কাছে আমাদের ওয়েবসাইটের ভ্যালু বাড়বে না। তখন গুগল বরাবর আমাদেরকে পিছনের দিকেই রাখবে। তাই এখন কিছু টিপস নিয়ে আলোচনা করবো যেগুলো ফলো করার মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে টপ পজিশনে নিয়ে আসতে পারবেন।
টারগেটেড কিওয়ার্ড রিসার্চ - Keyword Research
অনেক ব্যক্তি আছে যারা কি বিষয়ে লিখবে লেখার জন্য কিছুই খুজে পায় না। আবার অনেকে ভাবে আমি যে বিষয়টা লেখবো ভাবলাম এ বিষয় নিয়ে তো আমার চেয়ে ভালো করে অনেকে লেখছে। এসব ভাবতে ভাবতে সময় অপচয় করি। আসলে যে বিষয় নিয়ে লেখেন আপনার প্রতিযোগী থাকবেই। তাদেরকে পিছনে ফেলে সামনে আসার চেষ্টা সবসময় করতে হবে, হাল ছাড়া যাবে না।
এখন অনেকে বলবেন কিওয়ার্ড আবার কি? তাদের জন্য সহজ করে বলি কিওয়ার্ড হলো এমন কিছু শব্দ যা লিখে গুগলে মানুষ সার্চ করে থাকে। যেমন আজকে আমাদের কিওয়াড হলো “অন পেজ এসইও”। আপনি যদি এটা লিখে গুগলে সার্চ করেন তাহলে দেখবেন অনেক লেখা আপনার সামনে চলে আসবে। অন পেজ এসইও করতে আপনাকে অবশ্যই কিওয়ার্ড রিসার্চ এ প্রচুর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে। তবে ঘেটে ঘেটে কিওয়ার্ড বের করতে আপনাকে অনেক সময় দিতে হবে। আপনি যদি কম সময়ের ভিতরে কিওয়ার্ড খুজে বের করতে চান তাহলে আপনি কিছু এপস এর সাহায্য নিতে পারেন। তবে কিছু এপস আছে যেগুলো পেইড করে কাজ করতে হয়, আবার কিছু এপস আছে যেগুলো ফ্রীতে কাজ করে। যেমন-
গুগল কিওয়ার্ড প্লানার। আপনারা এর সাহায্য নিয়ে কিওয়ার্ড বাছাই করতে পারেন। অথবা কিওয়ার্ড সম্পর্কে ধারনা নিতে পারেন। তবে কিওয়ার্ড বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি যেটা খেয়াল করবেন যে বিষয়গুলোর প্রতিযোগী কম যে বিষয় নিয়ে লেখার, তাহলে সামনে আসার সম্ভবনা অনেক বেড়ে যাবে।
সুন্দর টাইটেল নির্বাচন
একটা আর্টিকেল র্যাংক করার জন্য সবচেয়ে যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে থাকে তা হলো টাইটেল। অন পেজ এসইও এর জন্য টাইটেল খুবই জরুরী একটা বিষয়। আমরা একটু আগে কিওয়ার্ড বাছাই করলাম। সেই কিওয়ার্ড দিয়ে সার্স করলে অনেকগুলো ওয়েবসাইটকে গুগল আমাদের সামনে নিয়ে আসবে। আমরা লক্ষ করলে দেখতে পারবো প্রতিটি ওয়েবসাইটের পোস্টে অন পেজ এসইও লেখা আছে, যার সামনে পিছনে অনেকে কিছু বিষয় এড করে সেটাকে আকর্ষনীয় করে তুলেছে। আর দর্শকদের কাছে যে ওয়েবসাইটের টাইটেলটি ভালো লেগেছে দর্শক কিন্তু সেখানে ক্লিক করে তার আর্টিকেলটি পড়বে। আপনি যদি আপনার পোস্টে অনেক তথ্য দিয়ে রাখেন কিন্তু আপনার টাইটেল খারাপ হয় তাহলে কিন্তু আপনার পোস্ট র্যাংক করবে না। তবে টাইটের নির্বাচনে অবশ্যই টার্গেটেড কিওয়ার্ড অর্থাৎ আপনি যা নিয়ে লেখবেন তা যেন থাকে। মোটকথা আপনাকে এমন একটা টাইটেল বাছাই করতে হবে যেন টাইটেলটা খুব সুন্দর ও আকর্ষনীয় হয়ে থাকে, তারমানে টাইটেলে একটু মধু ঢেলে দিবেন।
যেমন- আমরা আজকের যে টাইটেল দিলাম তার নাম হলোঃ অন পেজ এসইও কিভাবে করবেন?- On Page SEO গাইডলাইন ২০২২। এ টাইটেল দেওয়ায় যারা সার্স করে দেখবে এখানে পুরো গাইডলাইন আলোচনা করা হয়েছে তারা কিন্তু ২০২২ লেখা দেখলে এখানেই ক্লিক করবে, ভাববে এখানে নিশ্চই নতুন কিছু আপডেট আনা হয়েছে। তাই আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে টাইটেলটাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিবেন। টাইটেলের শুরুতে টার্গেট কিওয়ার্ড ব্যবহারের চেষ্টা করবেন। আপনি আপনার জরুরি প্রয়োজনে (-) অথবা (|) এ চিহ্নগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
এখন অনেকের মনের প্রশ্ন টাইটেল কি ছোট করে লিখবো? নাকি অনেক বড় করবো? যাদের মনে এমন প্রশ্ন আছে তারা খেয়াল রাখবেন পুরো টাইটেলে যেন সর্বনিম্ন ১৫টি ক্যারেক্টার বা অক্ষর থাকে। আর সর্বোচ্চ ৭০টা ক্যারেক্টার বা অক্ষর থাকে। তবে চেষ্টা করবেন এমন ভাবে টাইটেল দিবেন যাতে করে ৬০ থেকে ৭০ অক্ষরের ভিতরে লেখা হয়ে যায়।
কনটেন্ট লিখতে যে সকল বিষয় খুবই জরুরি
আমাদের পুরো পোস্টের প্রান হলো কনটেন্ট। অর্থাৎ আমরা যে বিষয় নিয়ে লেখালেখি করবো পুরো পোস্টজুড়ে। বর্তমানে গুগল অনেক আপডেট হয়েছে গুগল আপনার পুরো পোস্ট চেক করে দেখে সেখানে ভালো তথ্য, সুন্দর লেখনির ধরন, ফোকাস কিওয়ার্ড, কিওয়ার্ড ডেনসিটির পরিমান সঠিক আছে কিনা ইত্যাদি বিষয় চেক করে গুগল পোস্টকে র্যাংক করে। আপনার পুরো পোস্টে যেন প্রচুর তথ্য থাকে যা দেখে মানুষ আপনার ওয়েবসাইটে বেশি সময় দিবে। আবার কারো ভালো লাগলে সে তার বন্ধুদের কাছে আপনার পোস্ট শেয়ার করতে পারে। এতে করে কিন্তু আস্তে আস্তে আপনার ভিজিটর বাড়বে।
আপনার লেখার ধরন সুন্দর হতে হবে, দর্শকদের এমন জিনিস উপহার দিতে হবে যাতে দর্শক আপনার ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিট করতে আসে। আর যে পোস্ট পড়বে পোস্ট পড়তে যেন কোন একঘ্যায়মি ভাব না আসে। এমন ভাবে স্টেপ বাই স্টেপ লেখতে হবে যেন আপনার পোস্ট পড়ে তার তৃপ্তি হয়। যেমন ধরেন, আপনাকে বলা হলো আপনি ট্রেন ভ্রমন নিয়ে একটি রচনা লিখতে বলল আপনি কি করবেন? অবশ্যই প্রথমে
- সূচনা
- সারমর্ম
- রেলওয়ে স্টেশনের বর্ননা
- কোথা থেকে কোথা যাবেন তার বর্ননা
- কারো সাথে কোন ব্যাতিক্রম কিছু ঘটলে তার বর্ননা
- ট্রেন দিয়ে যাওয়ার সময় প্রাকৃতিক দৃশ্যের বর্ননা
- ট্রেনে ওঠা ও নামার অভিজ্ঞতা
- মন্তব্য বা উপসংহার ইত্যাদি।
এভাবেই তো লিখবেন তাইনা। এমন প্রতিটি আর্টিকেল অবশ্যই স্টেপ বাই স্টেপ করে লিখবেন।
কনটেন্ট লিখতে যে বিষয় বেশি মাথায় রাখবেন তা হলো ফোকাসিং কিওয়ার্ড। ফোকাসিং কি ওয়ার্ড হলো আপনি যে বিষয় নিয়ে আপনার কনটেন্ট লিখবেন। যেটা আমরা টার্গেট কিওয়ার্ড বলে আসছি উপরে। পুরো পোস্টজুড়ে কিছুক্ষন পর পর আপনার ফোকাসিং কিওয়ার্ড উল্যেখ করতে হবে। যাতে করে গুগলের বট বুঝতে পারে আমার কনটেন্ট মূলত কিসের উপর লেখা। তাইবলে খুব ঘনঘন ফোকাসিং কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না এতেকরে দর্শক তার পড়ার ধাঁচ হারাবে। আর গুগল বুঝবে আমরা গুগলকে ফোর্স করতেছি আমাদের পোস্টকে র্যাংক করানোর জন্য। অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে আমি আমার পোস্টে কতগুলো ফোকাস কিওয়ার্ড বা টার্গেট কিওয়ার্ড ব্যবহার করবো। ভালো অন পেজ এসইও এর জন্য আপনাকে আপনার কনটেন্ট এর ওয়ার্ড এর উপর ভিত্তি করে ফোকাস কিওয়ার্ড লিখতে হবে।
কেউ যদি ১০০০ ওয়ার্ডের একটি কনটেন্ট লিখে তাহলে ৫ থেকে ৬ বার ফোকাস কিওয়ার্ড লেখলেই যথেষ্ট। পোস্ট ভালো র্যাংক করতে আরেকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তা হলো কিওয়ার্ড ডেনসিটি। আমাদের ফোকাস কিওয়ার্ড যেন দূরুত্ব দিয়ে হয়। অনেকে লেখার সময় দুই তিন লাইন পর পর গ্যাপ দিয়ে লেখে এতেকরে কনটেন্ট এর সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়ে যায়। তাই বেশি গ্যাপ করবেন না।
আপনার পুরো পোস্টে কত শব্দের কনটেন্ট লিখলে ভালো হবে, এটা নিয়ে অনেকের প্রশ্ন থাকে। যে আমি কতগুলো শব্দ নিয়ে একটা আদর্শ কনটেন্ট লিখব? এর উত্তর হলো আপনি যদি গুগল র্যাংকিং এ সামনে আসতে চান তাহলে আপনি যে কিওয়ার্ড নিয়ে পোস্ট কিরবেন তা লিখে গুগলে সার্স করবেন। প্রথমে থাকা ৫টি ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। তাদের পোস্টগুলোতে কতগুলো শব্দ আছে তার একটা ধারনা নিবেন। আপনি যদি তাদের থেকে ভালো পারফর্ম করতে চান অবশ্যই তাদের চেয়ে বেশি শব্দ নিয়ে আপনাকে লেখতে হবে। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কিভাবে প্রতিটা ওয়েবসাইটের এতগুলো শব্দ কাউন্ট করবো। বর্তমানে অনলাইনে বিভিন্ন প্রকার
ওয়ার্ড কাউন্টার সফটওয়্যার পাওয়া যায় আপনারা তাদের লেখা পোস্টগুলো কপি করে পেস্ট করার মাধ্যমে দেখতে পারবেন কতগুলো শব্দ আছে প্রথম ৫ জনের ওয়েবসাইটে তারা যতগুলো শব্দ ব্যবহার করছে আপনাকে তার চেয়ে বেশি শব্দের কনটেন্ট লিখতে হবে।
আপনার লেখা আর্টিকেল কপিরাইট ফ্রী হতে হবে। কারো থেকে কপি করে সরাসরি আপনি আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহার করলে আপনার লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হবে। আপনাকে সবসময়
ইউনিক আর্টিকেল লিখতে হবে। আপনি এটা করতে পারেন আপনার লেখনির কয়েকটি পোস্ট নিয়ে গবেষনা করতে পারেন। গবেষনা হয়ে গেলে নিজের মত করে লিখবেন। আপনাদের পোস্টটি লেখার পর যদি কারো মনে কোন প্রকার প্রশ্ন থাকে আসলে কি আমার আর্টিকেলটি ইউনিক কিনা তাহলে আপনারা বিভিন্ন প্রকার প্লাগারিজম চেকার আছে যেগুলো দিয়ে চেক করতে পারেন আপনার আর্টিকেল কতটুকু ইউনিক। প্লাগারিজম চেকার পেইড করেও নিতে হয় যেগুলোর সঠিকতা অনেক ভালো, আর আমরা যারা ফ্রীতে প্লাগারিজম চেক করতে চাই তারাও চেক করতে পারি। গুগলে
প্লাগারিজম চেকার লেখলে অনেক সাইট আসবে আপনারা আপনাদের পছন্দমত চেকার দিয়ে কাজ করতে পারেন।
ইন্টার লিংক ও এক্সটারনাল লিংক ব্যবহার করতে হবে
এসইও (SEO) এর জন্য লিংকিং করাটা খুবই জরুরি। আমরা যদি কারো ওয়েবসাইটে গিয়ে কোন একটা পোস্ট পড়ি তাহলে দেখতে পারবো, কিছুদুর যেতে না যেতে অন্য আরেকটি পোস্টের লিংক দেওয়া রয়েছে। যেটা আপনার পড়া পোস্টের সাথে মিলে যায়, আপনি তার লিংকের পোস্টা মনের অজান্তেই ক্লিক করে দেখে ফেলেন। এ লিংক যদি এমন হয় যে ক্লিক করলে তার নিজের ওয়েবসাইটের অন্যকোন পোস্টে নিয়ে যায় তাহলে আমরা তাকে বলি ইন্টারলিংকিং। এখন আপনি আপনার পোস্টে কতটি ইন্টারলিংক করতে পারবেন? আপনাকে পোস্টে এমন ভাবে লিংকিং করতে হবে যাতে পাঠক পোস্ট পড়তে বিরক্ত না হয় বরং পাঠক যখন পোস্ট পড়বে এমন দুরুত্বে লিংকিং করবেন যাতে পাঠকের কাছে সেটা বিজ্ঞাপনের মত মনে হয়। ইন্টারলিংকিং অন পেজ এসইও এর মধ্যে পড়ে, তাই আপনারা আপনাদের পোস্টের শব্দের সংখ্যা যদি ১০০০ হয় তাহলে ৩ থেকে ৪ টি লিংকিং করে দিবেন।
এক্সটারলিংকিং কি? যখন আমরা কোন ইনফরমেশন জানতে চাই গুগলে সার্স করলে তারা আমাদের সামনে অনেক পোস্ট হাজির করে। আমরা যখন পোস্টগুলো পড়ি লেখার মাঝে খেয়াল করবেন অন্যএকটি কালার দেখায়, যেখানে ক্লিক করলে আমাদের অন্য আরেকটি পেজে নিয়ে যায়, যেটা তার ওয়েবসাইটের বাইরে। এটাই মূলত এক্সটারনাল লিংকিং যেটাকে অনেকে ব্যকলিংকিং ও বলে থাকে। এ লিংকের সুবিধা হলো আপনি আপনার ওয়েবসাইটে তার তথ্য দেয়ার মাধ্যমে তার সাথে একটা সম্পর্ক তৈরি করলেন। আর অনান্য ওয়েবসাইটের সাথে সম্পর্ক থাকার ফলে গুগল আপনাকে অনেক প্রধান্য দিবে র্যাংকিং এর জন্য। আবার অন্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসার সম্ভবনা অনেক বেড়ে যাবে।
ব্লগে ইমেজ অপটিমাইজেশন করা
এসইও করতে অনেক জিনিসের উপর নজর দিতে হয়। যার একটি অন্যতম অংশ হলো ব্লগে ইমেজের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা। আমরা জানি ছবি কিন্তু অনেক কথা বলে, আর গুগল বর্তমানে ছবির কথাকে বুঝতে পারে। তাই আমাদের আর্টিকেলে আমরা যে ইমেজ ব্যবহার করবো তা যেন অপটিমাইজেন করা থাকে। আমরা যখন একটা ছবি মোবাইল দিয়ে তুলি তখন কিন্তু এর সাইজ অনেক বড় হয়, আর সেটা যদি আমরা সরাসরি আমাদের আর্টিকেলে সাবমিট করি তাহলে কিন্তু আমাদের পেজ লোডিং স্পিড অনেক কমে যাবে। তাই আমাদের ছবিগুলোকে সাইজে ছোট করে নিতে পারেন। যারা ফটোশপ ভালো পারেন তারা ফটোশপে ছবি ইডিট করবেন কারন ফটোশপের মাধ্যমে ছবির সাইজ কমানো সম্ভব। এছাড়াও বর্তমানে অনলাইনে অনেক
ফটো ইডিটর আছে আপনারা এগুলো ব্যবহার করেও কিন্তু আপনার ব্যবহৃত ছবির সাইজ ছোট করে নিতে পারেন। আমরা জানি ছবির অনেক ফরমেট রয়েছে, যেমন - jpg, png, webp ইত্যাদি আপনারা সবসময় চেষ্টা করবেন webp ফরমেটের ছবি আপলোড করতে, কারন webp ফরমেটের ছবির সাইজ আপনা আপনি ছোট হয়ে যায় অনেকাংশে।
ইমেজে ALT Tags ব্যবহার করুন
আমরা শুধু ইমেজকে অপটিমাইজেশন করে বা সাইজে ছোট করে আর্টিকেল সাবমিট করলেই এসইও এর ধাপ শেষ হয়ে যায় না আমাদেরকে ইমেজ আপলোড করার পর এমন কাজ করতে হবে যাতে গুগল বুঝতে পারে এটা কিসের ছবি। কারন গুগল তো আপনার ছবি দেখে সরাসরি সেটা পাবলিস্ট নাও করতে পারে। তাই আমরা গুগলের বুঝার সুবিধার্থে ইমেজে ALT Tag ব্যবহার করতে পারি। তার ফলে গুগল ও অন্যান্য সার্স ইঞ্জিনগুলো সহজে বুজতে পারে এটা কিসের ছবি। আর ALT Tag ব্যবহারের আরেকটি সুবিধা হলো আপনি google image search থেকেও ভালো পরিমান ভিজিটর পাবেন।
তাই অন পেজ এসইও এর জন্য আমরা ইমেজ ALT Tag ব্যবহার করে SEO করতে পারি। তবে আপনাকে লক্ষ রখতে হবে ALT Tag এ যে Text ব্যবহার করবেন তাতে যেন আপনার targeted focused keyword যেন অবশ্যই থাকে। এভাবে আমরা ছবিতে ALT Tag ব্যবহার করে কনটেন্টকে ভালো ভাবে SEO অপটিমাইজ করতে পারি।
পারমালিংক অপটিমাইজেশন
On Page SEO এর জন্য পারমালিংক খুবই গুরুত্বপূর্ন। কারন হলো আমরা যখন গুগলে আমাদের পোস্টকে Index করি তখন গুগলের রোবট আমাদের পেজে এসে সর্বপ্রথম যে জিনিস দেখে তা হলো Permalink. তাই টাইটেল ও ডেসক্রিপশনের মত আমাদেকে পারমালিংকের উপর গুরুত্ব আরোপ করতে হবে।
যারা এখনো Permalink বুঝেতে পারে নি তাদের জন্য বলি, আমরা যখন আমাদের পোস্টকে পাবলিস্ট করি তখন প্রতিটি পোস্টের জন্য একটি করে লিংক তৈরি হয় যাকে মূলত পারমালিং বলা হয়ে থাকে।
পারমালিংকের মাধ্যমে আপনি লিংক দেখেই বুজতে পারবেন পোস্ট সম্পর্কে। এটাকে যেহেতু ছোট আকারে প্রকাশ করা হয় তাই পারমালিংকে পুরো পোস্টের সারসংক্ষেপ ও বলতে পারি।
আপনি কিভাবে পারমালিং (Permalink) করবেন?
আমরা যদি ছোট ছোট বিষয়গুলোতে মনোযোগ প্রদান করি তাহলে আমাদের পারমালিংটি খুবই সুন্দর হবে। আর গুগলের রোবট বুঝতে পারবে আমাদের পোস্টটি কিসের উপর ভিত্তি করে লেখা। তখন পোস্ট দ্রুত ইনডেক্স ও র্যাংক করবে। আমরা ভালো পারমালিং লিখতে নিচের বিষয়গুলো খেয়াল করতে পারি-
- পারমালিংকে সবসময় Short URL ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। ৩ থেকে ৪ শব্দের ভিতরে হলে অনেক ভালো হয়।
- Targeted Focused Keyword টি পারমালিংকে ব্যবহারের চেষ্টা করবেন।
- প্রতিটি শব্দের পরে (-) চিহ্নটি ব্যবহার করবেন, তা না হলে কিন্তু আপনার চেষ্টা ব্যার্থ হবে।
- কোন প্রকারের সংখ্যা উল্যেখ করা থেকে বিরত থাকবেন।
উপরের এ ছোট বিষয়ের উপর নজর রাখলে আপনার পারমালিংক খুবই সুন্দর ও মজবুত হবে আপনার পোস্ট র্যাংক করার জন্য।
সার্স ডেসক্রিপশন (Search Description Optimize)
অন পেজ এসইও এর দ্বিতীয় ধাপ হলো Search Description, সার্স ইঞ্জিন থেকে ভিজিটর নিয়ে আসার জন্য এর ভূমিকা অনেক। আমরা গুগলে কিছু লিখে সার্স করলে প্রথমে আমরা দেখতে পাই টাইটেল তার নিচে ২/৩লাইনের একটা বর্ননা দেখতে পারি যাকে মূলত Description বলা হয়ে থাকে।
আমরা যখন সার্স করি তখন শুধুমাত্র টাইটেল দেই এমনটা কিন্তু না আমরা পাশাপাশি Description টাও পড়ে থাকি, যে Description টা আমাদের কাছে সবচেয়ে বোধগম্য হবে আমরা সে কনটেন্ট মূলত পড়ে থাকি। তাই আপনার ডেসক্রিপশন এমনভাবে লিখতে হবে যেন দর্শক দেখামাত্র আপনার পোস্টটিতে ক্লিক করে।
আমরা এখন Description লেখার কিছু কৌশল সম্পর্কে জানবো-
- ডেসক্রিপশনে আপনি এমন কিছু বাক্য ব্যবহার করবেন যাতে আপনার Targeted Focused Keyword অবশ্যই থাকে। আপনি আপনার পুরো কনটেন্ট এর সারমর্ম ডেসক্রিপশনে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন সুন্দর করে। আপনি প্রয়োজনে Focused Keyword এর সাথে মিল রেখে কিছু সিমিলার শব্দ ব্যবহার করতে পারেন।
- আপনার পুরো বর্ননা যেন ১০০ থেকে ১৫০ শব্দের ভিতরে হয় তার উপর নজর রাখবেন। আপনি বেশি লিখতেও পারবেন না কারন ব্লগারে ১৫০ টি শব্দের কথা উল্যেখ করে দেওয়া আছে।
- Description এর মাঝে অবাঞ্চিত শব্দ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন, যেমন - Hi/Hello/welcome/ good morning ইত্যাদি।
আপনি যদি উপরের বিষয়গুলো একটু ভালো করে লক্ষ করেন তাহলে Search Description ভেসে উঠা তথ্যটাও পাঠকের কাছে অনেক ভালো লাগবে।
নিয়মিত আর্টিকেল বা কনটেন্ট পাবলিস্ট করা
আমরা যারা ব্লগিং করি অনেকে পেশা জনিত কারনে ব্লগিং করি আর অনেকে নেশা জনিত কারনে ব্লগিং করি। যারা পেশার কারনে আর্টিকেল লেখেন তারা কিন্তু নিয়মিত কনটেন্ট পাবলিস্ট করে। আর আমরা যারা হঠাৎ নেশায় পড়ে লেখালেখি করি তাদের নেশা কেটেগেলে তারা কিন্তু আর কনটেন্ট নিয়মিত পাবলিস্ট করে না।
এখন আমরা যারা আর্টিকেল লেখি তাদের লক্ষ রাখতে হবে আমরা মাসে কতগুলো আর্টিকেল পাবলিস্ট করি। যদি সাপ্তাহে ৩ থেকে ৪ টি আর্টিকেল পাবলিস্ট করা হয় তাহলে গুগল তাদেরকে হাই কোয়ালিটি পাবলিশার হিসাবে গন্য করে এবং তাদের লেখা পোস্টগুলো খুব দ্রুত ইনডেক্স করে এবং সামনের পেজে জায়গা দেয়। আর যারা মাসে ২ থেকে ৩ টা পোস্ট শেয়ার করে গুগল তাদের কো লো কোয়ালিটি পাবশার হিসাবে গন্য করে তাই তাদের লেখা পোস্টগুলোর র্যাংক অনেক খারাপ হয়ে থাকে।
তাই যারা Google Search Engine থেকে বেশি বেশি ভিজিটর বা ট্রাফিক আশা করে থাকেন তারা অবশ্যই নিয়মিত পোস্ট পাবলিস্ট করার চেষ্টা করবেন নতুন নতুন বিষয় নিয়ে।
On Page SEO এর জন্য ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশন
আমরা এতক্ষন ধরে অনেক কিছু শিখে ফেলেছি, কিন্তু যে সকল বিষয় শিখলাম সেগুলো হলো কনটেন্ট অপটিমাইজেশন। তবে আপনাকে ভালো মানের ফলাফলের জন্য অন পেজ এসইও করার সময় শুধু কনটেন্ট অপটিমাইজেশনের পিছনে পড়ে না থেকে আপনাকে ওয়েবসাইকেও অপটিমাইজ করতে হবে। এতে করে আপনি যেমন বাড়তি কিছু সুবিধা পাবেন, এর পাশাপাশি ভিজিটরও বাড়ার চান্জ অনেক বেড়ে যাবে। তো চলুন কিভাবে আপনার ওয়েবসাইটকে On Page SEO করবেন সেটা জেনে আসি।
Google Search Console এ আপনার ওয়েবসাইট জমা করুন
Google Search Console হলো এমন একটি মাধ্যম যেখানে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে ঘটে যাওয়া সকল কিছুর গবেষনা করে থাকি। ধরুন আপনি ওয়েবসাইট শুরুর দিন থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত শুধু পোস্ট আপলোড করেই যাচ্ছেন, কিন্তু আপনি এটা জানেন না যে আপনার ওয়েবসাইটে দিনে কতগুলো ক্লিক পড়ে, আপনার ওয়েবসাইটের ইমপ্রেশন কত, এমনকি আপনি যে পোস্টগুলো আপলোড করতেছেন এগুলো কি আসলেই গুগলে ইনডেক্স হচ্ছে কিনা, আপনার ওয়েবসাইটে কোন প্রকার খারাপ ইশু আছে কিনা, এসকল বিষয় নিয়ে কিন্তু আমাদের প্রতিনিয়ত ঘাটাঘাটি করতে হয়। আপনি উপরের সকল সমস্যর সমাধান পাবেন যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইট Google Search Console এ সাবমিট করেন।
শুধু Google Search Console এ এড করলে হবে না আপনাকে আপনার ওয়েবসাইটের সাইটম্যাপ এখনে দিয়ে দিতে হবে যাতে করে গুগল আপনার পোস্ট করা আর্টিকেল গুলোকে দ্রুত র্যাংক করাতে পারে। আপনার কোন পোস্ট যদি গুগল ইনডেক্স নাও করে আপনি
Google Search Console এসে আপনার পোস্টকে ইনডেক্স করাতে পারেন।
আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইটে কি ঘটছে তার নিখুত পর্যালোচনা করতে চান তাহলে আপনার ওয়েবসাইটকে গুগল সার্স কনসোলে সাবমিট করবেন। এতে করে অন পেজ এসইওর কাজ অনেকটা হয়ে যাবে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য।
ওয়েবসাইট ডিজাইন করা (Website Design)
আপনার ওয়েবসাইটকে ডিজাইন করতে হবে সুন্দর করে, অনেকে দেখবেন তাদের বানানো ওয়েবসাইটটি হিজিবিজি করে রাখে দর্শক তাদের ওয়েবসাইটে ঢুকে তাদের পছন্দের জিনিস খুজে পায় না সহজে। বিরক্ত হয়ে পরবর্তীতে আর সেই ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে আসে না।
On Page SEO এর জন্য আপনার ওয়েবসাইটের ডিজাইনটাকে খুব সুন্দর করে সাজাতে হবে। যেন দর্শক বা পাঠক এসে আপনার সবকিছু খুব সহজে বুঝে যায়। যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে একটা দোকানের সাথে কল্পনা করেন তাহলে ভাবেন তো, আমরা কি সকল দোকানে সবসময় জিনিস ক্রয় করি? অবশ্যই না। আমরা তাদের দোকান থেকেই জিনিস কিনি যারা দোকানে সবসময় ভালো মালামাল রাখে এবং যাদের দোকান অত্যান্ত সাজানো গুছানো।
আপনি দোকানের মত সুন্দর করে আপনার ওয়েবসাইটকে সাজাবেন যাতে দর্শক একবার আসলে আরেকবার আসবেই। অনেকে ভাবেন আমার তো দামি থিম নেই তাই ডিজাইন ভালো না। আসেলে থিম কোন ব্যাপার না আপনি আপনার ওয়েবসাইটে যে থিম থাকুক না কেন সেটা সিম্পিলের ভিতর গর্জিয়াস করে তুলবেন।
ওয়েবসাইটের পেজ লোডিং স্পিড অপটিমাইজেশন
লোডিং স্পিড কি? একটা পেজ Load/open হতে যে সময় লাগে তাকেই মূলত লোডিং স্পিড বলে থাকি। যা একেক ওয়েবসাইটের জন্য একেক রকমের হয়ে থাকে। আমরা যদি গুগল বা ফেসবুকের কথা চিন্তা করি দেখবেন এগুলো খুব দ্রুত লোড নেয়।
আবার অনেক সময় এমন কিছু ওয়েবসাইট আসে যাদের লোডিং স্পিড খুবই কম। আপনার ওয়েবসাইটের যদি লোডিং স্পিড খারাপ হয় আপনি কিন্তু অনায়াসে আপনার সাইটের ভিজিটর হারাবেন। তাই On Page SEO তে আপনার ভালো পারফর্মের জন্য ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিডের দিকে নজর দিতে হবে।
আপনি হয়ত ভাবছেন কিভাবে আমাদের ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড চেক করবো? বা কত স্পিড হলে আমাদের ওয়েবসাইটের জন্য ভালো হয়? বর্তমানে ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড চেক করার জন্য অনেক ধরনের টুলস রয়েছে আপনার প্রয়োজনে সেগুলো ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড চেক করতে পারেন। আমি কয়েকটি টুলসের নাম বলছি আপনাদের কাছে যেটা বিশ্বস্ত ও ভালো মনে হয় আপনি সে টুলস ব্যবহার করবেন।
উপরে যে সকল ওয়েবসাইটের কথা বলা হয়েছে এগুলো খুবই বিস্বস্ত। আপনারা আপনাদের প্রয়োজনে যে কোন একটিকে ব্যবহার করতে পারেন। আপনারা আপনাদের ওয়েবসাইটের স্পিড ২ থেকে ৪ সেকেন্ডের ভিতরে রাখার চেষ্টা করবেন।
লোডং স্পিড কমানোর উপায়
এসইওর জন্য আমরা বুঝতে পারলাম যে আমাদের র্যাংকিং এর জন্য ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড কমানো উচিত। On Page SEO জন্য কি কি পদ্ধতি অবলম্বন করে আমরা আমাদের লোড স্পিড কমাতে পারি তা হলো-
- ভালো মানের ওয়েবসাইট থিম ব্যবহার করা। আমরা যদি প্রিমিয়াম লেভেলের থিম ব্যবহার করি তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড অনেক ফাস্ট হবে।
- আমরা যে ছবিগুলো ব্যবহার করি সেগুলো ছোট সাইজের করে তারপর আপলোড করা। এর জন্য আমরা বিভিন্ন অনলাইনে টুলস পেয়ে যাবো।
- যারা ওয়ার্ডপ্রেস থিম ব্যবহার করেন তারা বিভিন্ন প্লাগিন ব্যবহার করে স্পিড বাড়াতে পারেন।
- আপনার ওয়েবসাইটে লেজিলোড ব্যবহারের মাধ্যমে লোডিং স্পিড কমাতে পারেন।
- ভালো মানের হোস্টিং ব্যবহার করে লোডিং স্পিড কমাতে পারেন।
আমাদের শেষ কথা
আজকে আমরা শিখতে পারলাম অন পেজ এসইও (On Page SEO) করে কিভাবে সবার উপরের অর্থাৎ গুগলের ফাস্ট পেজে আসা যায়। আপনারা যদি একজন ব্লগার হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই উপরের সকল বিষয়ে আপনার যত্নবান হওয়া উচিত।
আজকের আলোচনায় আপনারা যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর এমন নিয়মিত সুন্দর সুন্দ পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন। সাথে সাথে আমাদের
গুগল নিউজ ফলো করার অনুরোধ রইল। সকলকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
উপায় কী এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url