বাংলালিংক বন্ধ সিম চালু করার নিয়ম | বাংলালিংক সিম বন্ধ করার নিয়ম
বাংলালিংক বন্ধ সিম চালু করার নিয়ম লিখে আমরা অনেক সময় গুগলে সার্স করে থাকি। কারন আমরা একজন ব্যাক্তি একই সাথে অনেকগুলো সিম ব্যবহার করি। অনেক সময় এমন হয়ে যায় আমার সিমের সংখ্যা মোট কতটি এটাও আমরা ভুলে যাই। যাইহোক আমরা আমাদের ফেলে রাখা সিমগুলো অনেকদিন পর পর একটিভ করি এর কারন হলো সকল কোম্পানি আবার বন্ধ রাখা সিমগুলোর বিভিন্ন অফার দিয়ে থাকে। এ অফারের লোভ সামলাতে না পেরে আমরা সিমটি চালু করার চিন্তা করে থাকি। আজকে আমরা বাংলালিংক বন্ধ সিম চালু করার নিয়ম সম্পর্কে জানব। আশাকরি পুরো পোস্ট মন দিয়ে পড়বেন। আপনারা চাইলে আমাদের গুগল নিউজ ফলো করতে পারেন।
বাংলালিংক বন্ধ সিম চালু করার নিয়ম-২০২২
দেশের একটি বড় টেলিকম অপারেটর হলো বাংলালিংক। আমাদের সকলের কমবেশি একটা করে হলেও বাংলালিংক কোম্পানির সিম রয়েছে। বাংলালিংক সিম বেশিরভাগ তারা চালায় যাদের কম টাকায় মোটামুটি ভালো সুবিধা দরকার। বিশেষ করে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাদের টার্গেট থাকে বাংলালিংক সিমের উপর।
আপনার একটি সিম দীর্ঘদিন থেকে পড়ে আছে আপনি হয়তো ভাবছেন কিভাবে বন্ধ সিমটি চালু করা যায়। বিষয়টি খুবই সহজ আপনি আপনার ফেলে রাখা সিমটিকে প্রথমে মোবাইলে প্রবেশ করাতে হবে। তারপর মোবাইল অপেন করে আপনাকে যে কোন পরিমান টাকা রিচার্জ করলেই আপনার সিমটি সচল হয়ে যাবে। অথবা আপনি আপনার নিকটস্থ দোকান থেকে একটি নির্ধারিত টাকার কার্ড কিনে গোপন নাম্বার ডায়াল করেও আপনার বন্ধ থাকা বাংলালিংক সিমটি চালু করতে পারেন।
আরো পড়ুনঃ বাংলালিংক নাম্বার চেক করার উপায়।
আপনার হাতে থাকা বাংলালিংক বন্ধ সিম চালু করার নিয়ম নিয়ে কখনোই ঘাবড়ে যাবেন না। অনেকে অল্পতেই অনেক বেশি চিন্তা করে থাকে। আপনি আপনার পড়ে থাকা বাংলালিংক সিমটি চালু করার জন্য বাংলালিংক হেল্পলাইন নাম্বার ১২১ কল করে বিষয়টি জানাতে পারেন। তারা আপনাকে আপনার সিমের তথ্য অনুযায়ী সবসময় সঠিক তথ্য প্রদান করবে।
বাংলালিংক সিম বন্ধ করার নিয়ম
বাংলালিংক সিম সাময়িক ভাবে বন্ধ করার নিয়ম
- আপনি সর্বপ্রথম বাংলালিংক হেল্পলাইন নাম্বারে অর্থাৎ ১২১ এ ফোন করবেন। তারপর আপনি অপরদিক থেকে ফোন রিসিভ করা বেক্তিকে আপনার সমস্য অবহিত করুন এবং আপনি যে সিমটি বন্ধ করতে চাচ্ছেন সেটা নিশ্চিত করুন।
- সিম বন্ধ করতে সিমের মালিকানা জাচাই করার প্রয়োজন পড়ে। এটা যে শুধু বাংলালিংক সিমের জন্য এমনটা কিন্তু নয়। আপনাকে সকল সিম কোম্পানিতে সিম বন্ধ করতে হলে মালিকানা যাচাই করবে। আসলেই ব্যবহৃত সিমটি আপনার কিনা সেটা যাচাই করার জন্যই মূলত কোম্পানি এ কাজটি করে থাকে। কারন অনেকে দুষ্টমি করে ফোন দিয়েও কিন্তু এ কাজটি করতে পারে।
- যদি বাংলালিংক সিমটি আপনার নামে হয়ে থাকে তাহলে আপনাকে কিছু প্রশ্ন করা হতে পারে। আর যদি সিমটি আপনার না হয়ে থাকে তাহলে যার জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে আপনার বাংলালিংক সিমটি কেনা তার সাথে কথা বলবে। কারন তারা নিশ্চিত হবে যে সিমটি তার কিনা। অনেক সময় আপনাকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের ( NID Card) নাম্বার জিজ্ঞেস করতে পারে এবং জন্ম তারিখও জিজ্ঞেস করতে পারে।
- আপনার সকল তথ্য দেয়া হয়ে গেলে ব্রাঞ্চ ম্যনেজার আপনার বাংলালিংক সিমটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিবে। তবে কোন কারনে যদি আপনি আবার সিমটি উত্তলোন করতে চান সেটিও পরবর্তীতে করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে পরে শুধু আপনাকে কল সেন্টারে কল করে জানাতে হবে যে আপনি আপনার সিমটি আবার চালু করতে চান।
বাংলালিংক সিম স্থায়ী ভাবে বন্ধ করার নিয়ম
- বাংলালিংক সিম স্থায়ীভাবে সংশোধন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র সঙ্গে নিয়ে বাংলালিংক সিম কাস্টমার কেয়ারে যেতে হবে। প্রয়োজনীয় কাগজ হিসাবে আপনারা অবশ্যই যার নামে সিমটি খোলা তার NID Card সাথে নিয়ে আসবেন।
- যদি NID Card কার্ড আপনার হয়ে থাকে তাহলে বাংলালিংক সিম বন্ধ করার জন্য আপনি একাই যথেষ্ঠ। কিন্তু অন্য কারো নামে আপনার বাংলালিংক সিমটি উঠানো হলে তাকে সাথে নিয়ে আসবেন কারন তার ফিঙ্গার নেওয়া হবে।
- আপনি যে সিমটি আসলেই বন্ধ করে দিতে চান সে সম্পর্কে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার কে অবহিত করবেন। তাহলে ম্যানেজার আপনার NID Card বা জাতীয় পরিচয় পত্রটি চাইবে। কারন আপনি যখন সিম উত্তলোন করেছিলেন যেভাবে বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন করছেন একইভাবে আপনার সিম স্থায়ীভাবে বন্ধের জন্য আপনাকে ফিঙ্গার দিতে হবে।
- সমস্ত কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার আপনাকে অবহিত করবে। তখন আপনি নিশ্চিত হবেন যে আপনার সিমটি স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।
উপায় কী এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url