বাজরিগার পাখি পালন পদ্ধতি - ২০২৪
আমরা সখের বসে অনেক সময় অনেককিছু লালন পালন করে থাকি। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি সখের কারনে মানুষ পাখি পুষে থাকে। সেই পাখির ভিতরে- হাস-মুরগি, ময়না, টিয়, ককাটেল, ফিন্স ইত্যাদি অনেক প্রজাতির পাখি আছে। আজকে আমি আপনাদের এই পোস্টের মধ্যে বহুল পরিচিত বাজরিগার পাখি পালন পদ্ধতি নিয়ে কথা বলব।
আপনারা যদি আমাদের পুরো পোস্ট পড়ে থাকেন তাহলে বাজরিগার পাখি পালন পদ্ধতি নিয়ে আর কোন সমস্যা থাকবে না বলে আশা করছি। আমাদের গুগল নিউজ ফলো করার অনুরোধ রইল।
বাজরিগার পাখির সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
বাজরিগার পাখি মূলত অস্ট্রিলিয়া মহাদেশের পাখি। যদিও আবহাওয়ার সাথে মিল থাকার কারনে বাংলাদেশেও খুব ভালো বংশবিস্তার করতে পারে এ পাখি। অনেকে এ পাখিকে বাজিগর পাখি বলেও চিনে থাকে। বাজরিগার পাখির ঠোঁট দেখতে অনেকটা টিয়াপাখির মত। এ পাখি বিভিন্ন কালারের বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায় যেমন- সবুজ, হলুদ, জংলি, সাদা ইত্যাদি ছাড়াও আরো অনেক রংয়ের হয়ে থাকে।
বাজরিগার পাখি খুব ভালো বংশবিস্তার করে বলে এ পাখির পালন এখন অনেকের সখের কারন হয়ে দাড়িয়েছে। বাজরিগার পাখি দুই প্রজাতির একটি হলো অস্ট্রিয়ান প্রজাতির যার দাম বাজারে কম হয়ে থাকে আরেক প্রজাতির বাজরিগার কে আমরা ইংলিশ বাজরিগার বলে চিনে থাকি। পাখিগুলোর কিচিরমিচির শব্দের জন্য অনেকে সখ করে বাড়ির বারান্দায় বা ছাদের কোনে পালন করে থাকে।
বাজরিগার পাখির দাম কেমন ২০২৪ সালে
যারা আমরা বাজরিগার পাখি পুষতে চাচ্ছি অনেকের জানে না যে এ পাখিগুলো কেমন দামের হতে পারে। আসলে বাজরিগার পাখি বাজারে বয়স অনুযায়ী দাম হয়ে থাকে। যেমন ২ মাস বয়সি বাচ্চাগুলো আপনারা ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকার ভেতরে পেয়ে যাবেন। ৩ মাস বয়সি বাচ্চাগুলো ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায় পেয়ে যাবেন।
আর ৪ মাসের বয়সথেকে এ পাখিগুলো এডাল্ট বা প্রজননের জন্য প্রস্তুত হতে থাকে এ বয়সের পাখিগুলো আপনারা ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার ভিতরে একজোড়া পাখি পেয়ে যাবেন। আর যারা রানিং পাখি বা জোনা নেওয়া পাখি কিনতে চান তাদের জন্য বিভিন্ন দোকানদার পাখির সাইজের উপর নির্ভর করে ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত এক জোড়া পাখি কিনে নিতে পারবেন।
ছেলে পাখি ও মেয়ে পাখি চেনার উপায়
বাজরিগার পাখির অনেকে ছেলে ও মেয়ে চিনতে ভুল করে । কারন এ পাখির ছেলে মেয়ে বাছাই করা একটু কষ্টের ব্যাপার, তবে আপনি যদি এ লক্ষনগুলো মিলিয়ে দেখেন তাহলে ছেলে মেয়ে বাছাই করতে পারবেন। বাজরিগার পাখির ছেলেদের ৪ মাসের সময় থেকে নাকের বর্ন গোলাপী বর্নের হবে। বয়স যত বাড়বে গোলাপী বর্নটা নীল আকারের ধারন করতে থাকবে।
এ ধরনের লক্ষন দেখলে আমরা বুঝতে পারবো এটা ছেলে পাখি। আর মেয়ে পাখির নাকের রং বা বর্ন সাদা হবে। বয়স বাড়ার সাথে সাথে সাদা বর্নটি বাদামি বা চকলেট কালারের মত হতে পারে। যারা এ পাখি দীর্ঘদিন যাবত পালন করে আসছেন তারা পাখির ডাক শুনেও ছেলে ও মেয়ে পাখি বাছাই করতে পারে।
তবে যারা বাজারে পাখি কিনতে যাবেন অবশ্যই কিছুটা অভিজ্ঞতা নিয়ে যাবেন না হলে অল্প বয়সি বাচ্চা দিয়ে দাম বেশি রাখবে। আপনি কিভাবে বুঝবেন পাখিটির বয়স এডাল্ট হয়েছে? বাচ্চা পাখির কিন্তু চোখের আকার বড় হয়ে থাকে আর বয়স যত বাড়বে পাখির চোখের গোলক একটু ছোট হবে। এবং চোখের কালো বৃত্তের বাইরে রিং এর মত একটা বৃত্ত থাকবে। এটা দেখলে বুঝবেন পাখির বয়স হয়েছে।
বাজরিগার পাখির প্রজনন ও বাচ্চা উৎপাদন
বাজরিগার পাখি প্রাকৃতিক ভাবে প্রজনন করে থাকে। তবে যারা খামারী তারা কিন্তু একবার বাচ্চা উৎপাদনের পর কয়েকদিন রেস্ট দিয়ে থাকে। কারন আপনি যদি পাখিকে বাচ্চা উৎপাদনের মেশিন মনে করে থাকেন তাহলে কিন্তু আপনার পাখির আয়ুস্কাল কমে যাবে। পাখিগুলো দ্রুত অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকবে।
যদি আপনি আপনার পাখিকে সুস্থ বা ভালো রাখতে চান তাহলে অবশ্যই পাখির বয়স যখন ৮ মাস হবে তখন প্রজনন করাবেন। অল্প বয়সে প্রজনন করালে পাখির শরিরের ধারনক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাবে।
বাজরিগার পাখি প্রতিবার যখন ডিম পাড়ার সময় হয় তখন ৬ থেকে ৭ টা ডিম দিয়ে থাকে। তবে পাখির শরীর ভালো থাকলে সর্বোচ্চ ১২ টা ডিমও পাড়তে পারে। যখন ডিম পাড়ার সময় হয় একদিন পর পর একটা একটা করে ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার পর থেকে মেয়ে পাখিটি ডিমে তাপ দিতে থাকে। যদি ৭ টা ডিম পাড়ে তাহলে ৭টা ডিম পাড়তে সময় লাগে ১৪ দিন যেহেতু একদিন পর পর একটা করে ডিম দেয়।
১৫ থেকে ১৮ দিনের মাথায় বাচ্চা ফুটতে শুরু করে একদিন পর পর একটা করে বাচ্চা ফুটে বের হয় ডিম থেকে। তাই বাচ্চাগুলো বিভিন্ন সাইজের হয়ে থাকে বয়স কমবেশি হওয়ার কারনে। ৪৫ থেকে ৫০ দিন বয়সে বাচ্চাগুলো তাদের হাড়ি থেকে নিচে নেমে আসে। আর ৪ থেকে ৫ দিনের ভিতরে বাবা মায়ের দেখে দেখে খাবার খাওয়া শিখে যায়। ২ মাস বয়স হলেই বাচ্চাগুলো বিক্রয়ের উপযুক্ত হয়ে থাকে।
বাচ্চাগুলো সবগুলো বের হয়ে আসলেই পাখিগুলো আবার ডিম পাড়ার পক্রিয়ায় চলে যায়। একসপ্তাহের ভিতরে ডিম পাড়ে যদি শরীরের কন্ডিশন ভালো থাকে। তবে কিছুদিন রেস্টে দিয়ে আবার প্রজনন করানো উচিত এতে পাখি ভালো থাকে।
বাজরিগার পাখির খাঁচার সঠিক মাপ
বাজরিগার পাখি পালনে সবচেয়ে বেশি যে বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া দরকার সেটা হলো সঠিক খাঁচার মাপ। অনেকে জানি না যে একজোড়া বাজরিগারের জন্য কী সাইজের খাঁচা হওয়া উচিত? একজোড়া পাখির জন্য আপনাকে 18*18*18 সাইজের খাঁচা নির্বাচন করা উচিত। তবে আপনার যদি পাখি রাখার যায়গা একটু বড় হয়ে থাকে তাহলে আপনি ২৪*১৮*১৮ সাইজের খাঁচাও ব্যবহার করতে পারেন।
তবে খাঁচার সাইজ যদি একটু বড় হয় তাহলে ভালো হয় কারন পাখিগুলো ভালোভাবে মুভমেন্ট করতে পারে। তবে খাঁচা এমন যায়গায় স্থাপন করতে হবে যেখানে ঈদুর, চিকা, বিড়াল বা অন্যকোন হিংস্রপ্রানী আক্রমন করতে না পারে। খাঁচর ভেতরে পাখি বসার জন্য ডাল যাতীয় কিছু দিতে হবে, যাতে সেখানে পাখি বসে থাকতে পারে।
আর খাঁচার কর্নারে ডিম পাড়ার জন্য হাড়ি দেওয়া উচিত। তবে হাড়ি এমন যায়গায় বসাবেন যেন পাখি তার বসার ডাল থেকে সুন্দরভাবে তার ঘরে যাতায়াত করতে পারে। আপনারা খাঁচাগুলো বাজারে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা দ্বরে পেয়ে যাবেন।
বাজরিগার পাখির খাবার তালিকা
বাজরিগার পাখিকে আপনি যে ধরনের খাবার খাওয়াবেন অভ্যাস করলে তারা সকল খাবার খায়। তবে তাদের পছন্দের কিছু খাবার আছে যেগুলো দিলে তাদের শরীরের পুষ্টিগুন ভালো থাকে। আর বাচ্চার উৎপাদন ভালো করে। বাজরিগার পাখি চিনা, তিসি, গুজিটিল, সূর্যমূখির বীজ, ব্লাক মিলেট, হোয়াইট মিলেট, চিকন পোলাউয়ের ধান ইত্যাদি খাবার খুবই পছন্দ করে থাকে।
তবে পাখির বাচ্চা হওয়ার পর এক সাপ্তাহ সফটফুড দিলে ভালো ফল পাওয়া যায়- যেমন: ডিম সেদ্ধ, আপেল, ছোলাবুট থেতলিয়ে দিতে পারেন, এতকরে আপনি অবশ্যই ভালো ফলাফল পাবেন। প্রতি সাপ্তাহে পাখিকে ২ থেকে ৩ দিন সবুজ সবজী খেতে দিবেন, যেমন: কলমি শাগ, লাল শাগ, দূর্বাঘাসের গাছ, সজনা গাছের কচি পাতা দিতে পারেন।
এতেকরে পাখির শরীরের সকল ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পুরন হয়ে যাবে। পাখি সবসময় সতেজ থাকবে। তবে পাখির দোকানে বাজরিগার মিক্সড খাবার পাওয়া যায় আপনারা সেগুলোও খাওয়াতে পারেন। এছাড়া বাজরিগার পাখি সমুদ্রের ফেনা, ডিমের খোসা, পোড়া মাটি বা ইটের ছোট গুড়া খুবই পছন্দ করে।
বাজরিগার পাখির খেলনা সামগ্রী
অনেকে এ কথা শুনে হাসবেন যে পাখির জন্য আবার খেলনা থাকে নাকি, আসলে বাজরিগার এমন একটি পাখি এটা আপনাকে অনেক সুন্দর বিনোদন প্রদান করবে। আপনার মন খারাপ থাকলে তাদের সামনে বসে থাকবেন দেখবেন আপনাকে তারা সুন্দর বিনোদন দিবে। তবে আপনি যদি আপনার পাখির খাঁচায় কিছু খেলনা দিয়ে দেন তাহলে আপনার পাখিগুলো আরামে খেলাধুলা করবে।
আমরা খেলনা হিসাবে খাঁচায় মই, দোলনা, ঝুনঝুনি, খাঁচার কর্নারে একটি আয়না দিয়ে দিতে পারি। দেখবেন পাখিগুলো তাদের চেহারা দেখবে আর খেলবে। তবে রানিং জোড়ার পাখিকে খেলনা দিবেন না তাহলে এরা প্রজনন না করে খেলাধুলা বেশি করবে আর ডিম পাড়তে নাও পারে। খেলনা আপনি ছোট বাচ্চা পাখির ঘরে ব্যবহার করতে পারেন।
বাজরিগার পাখির ঔষধ বা চিকিৎসা
বাজরিগার পাখির রোগ খুবই কম হয়ে থাকে। রোগ তেমন নাই বললেই চলে তবে আপনি যদি কিছু নিয়ম মেনে চলেন তাহলে আপনার পাখির রোগ না হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেড়ে যাবে। পাখির বেশিরভাগ রোগ হয়ে পানিবাহিত, তাই প্রতিদিন নতুন পানি ব্যবহার করবেন। খাবারের বাটি এবং পানির পট প্রতিদিন সকালে নির্দিষ্ট সময়ে দিবেন আর সন্ধার সময় খাবারের বাটি ও পানির পট সরিয়ে রাখবেন।
তাহলে কোন পোকামাকড় বা ক্ষতিকর কিছু খাবারে পড়ার সম্ভবনা থাকবে না আর পাখিকে কোন ব্যকটেরিয়া আক্রমন করতে পারবে না। তবে নিয়মিত খাবার চেক করুন কারন পাখিকে যে খাবার দিবেন পাখি কিন্তু খাবার খেয়ে শুধু চোগল ফেলে রাখে, তাই চোগলগুলো ফেলে পরিষ্কার করে দিবেন। যদি ভাবেন যে খাবার পটে খাবার আছে তাহলে পাখিগুলো খাবার অভাবে না খেয়ে মারা পর্যন্ত যেতে পারে।
প্রতি সপ্তাহে অন্তত একদিন হলেও পাখির খাঁচা ও পায়খানার ট্রে পরিষ্কার করবেন। আর যদি আপনি পাখিকে নিয়মিত কোর্স আকারে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, জিংক ইত্যাদি খাওয়ানোর অভ্যাস করেন তাহলে পাখি সবসময় সুস্থ্য থাকবে। যদি বেশি সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে আপনি নিকটস্ত পশুচিকিৎসা হাসপাতালে যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা যারা দীর্ঘদিন থেকে বাজরিগার পাখি পালন করে আসছে তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
গরমে বাজরিগার পাখির যত্ন
আমরা যারা খামারে বাজরিগার পাখি পালন করে থাকি তাদের চিন্তা থাকে অতিরিক্ত গরমে বাজরিগার পাখিকে কিভাবে সুস্থ রাখা যায়। আপনি পাখির খাাঁচাটি এমন যায়গায় স্থাপন করবেন যেন পাখিগুলো বাতাস পায়। আর যদি বাতাস না থাকে তাহলে বিকল্প হিসাবে ফ্যানের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। তবে ফ্যান এমন যায়গায় দিবেন যেন সরাসরি পাখির গায়ে না লাগে।
প্রতিদিন না হলেও সাপ্তাহে গরমের সময় দুই দিন গোসল করিয়ে দিবেন। প্রতি সাপ্তাহে একটি করে স্যালাইন পানির সাথে মিশিয়ে খেতে দিতে পারেন, তবে এ পদ্ধতিতে আধা কেজি পানিতে একটি স্যালাইন মিক্স করে পানির পটে পরিমান মত দিবেন। এবং ৬ ঘন্টার ভিতরে পানি চেন্জ করে দিবেন।
শীতে বাজরিগার পাখির যত্ন
বাজরিগার পাখি শীতকালে বেশি অসুস্থ হয় যখন বেশি ঠান্ডা পড়ে তখন। তাই শীতকালে পাখির যত্ন বেশি নেওয়া উচিত। শীতকালে ধনিয় পাতা পাওয়া যায় এ সময় খাবারের সাথে ধনিয়া পাতা এড করতে পারেন। এ সময় পাখীর যত্ন হিসেবে সকাল বিকাল হালকা গরম পানি দিতে পারেন। আর মোটা কোন কাপড় বা চট দিয়ে পুরো খাচার চারদিক ঢেকে দেওয়া উচিৎ শুধুমাত্র সামনের অংশ বাদ দিয়ে।
কারন সামনে ঢেকে দিলে পাখি বাহিরের কিছু দেখতে পারবে না, পাখির কাছে খারাপ অনুভুতি তৈরি হবে। তাই এসক নিয়ম মেনে চলবেন যাতে পাখি সুস্থ থাকে। পাখির রুমের তাপমাত্রা ২৫ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রাখলে ভালো হয়।
বাজরিগার পাখি বানিজ্যিক ভাবে পালন করে কি লাভবান হওয়া যায়?
কেউ যদি বানিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার আশায় এ পাখি পালন করতে চান তাহলে খুবই ভালো হয় কারন এ পাখি দ্রুত বংশবিস্তার করতে পারে। তাই বাচ্চা বিক্রি করে অনেক লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে যারা ছাত্র আছেন তারা পড়ালেখার পাশাপশি বাজরিগার পাখি পালন করতে পারেন, এর ফলে খারাপ বিষয়ে আপনার মন যাবে না। আর আপনি যদি ৫ জোড়া পাখি পালন করেন তাহলে প্রতি মাসে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার বাচ্চা বিক্রয় করতে পারবেন।
শেষকথা
আপনারা যারা মনোযোগ দিয়ে এতক্ষন আমাদের বাজরিগার পাখি পালন পদ্ধতি - ২০২৪ পোস্টটি পড়েলেন সকলকে আমাদের ওয়েবসাইটের পক্ষথেকে আন্তরিক মুবারক বাদ। এ রকম নিত্যপ্রয়োজনীয় পোস্ট পেতে আমাদের ওয়েবসাইট প্রতিদিন ভিজিট করবেন। কারো কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে কমেন্টের মাধ্যমে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ।
আরো পড়ুন
উপায় কী এর নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url